ঝিনাইদাহ: ট্রেন এলে রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধের জন্য সচল রয়েছে 'ব্যারিয়ার'। সেটি নামানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছেন দু'জন গেটম্যান। এরপরও সে রাতে 'ব্যারিয়ার'টি নামানোর জন্য পাওয়া যায়নি কাউকে। এই কাজটি না করার জন্যই ঘটল ১১ জনের প্রাণহানিসহ ৭০ নারী-পুরুষ আহত হওয়ার মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
শুক্রবার ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর দুই গেটম্যানসহ বারোবাজার রেলস্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াত তুর্কিকে সাময়িক বরখাস্ত ও গেটম্যান মোমিনুর রহমানকে পুলিশ আটক করলেও লাপাত্তা রয়েছেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ডিউটিপ্রাপ্ত গেটম্যান হুমায়ুন কবির। পলাতক রয়েছেন বরযাত্রীবাহী বাসচালকও।
বারোবাজার স্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াত তুর্কি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সময় সেখানে ডিউটি ছিল হুমায়ুন কবিরের। ট্রেন আসার ৫ মিনিট আগে তিনি হুমায়ুনকে গেট বন্ধ করার জন্য মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিলেও গেট বন্ধ না করে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাত্রী অনিন্দ্য বিশ্বাস অভিযোগ করেন, রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান ছিলেন না। ফলে কোনো সিগনাল না পাওয়া বাসচালক রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি বাসচালকও ছিলেন তন্দ্রাচ্ছন্ন। ট্রেনের আলোও ছিল কম। এ সব কিছুই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপশি দুর্ঘটনার শিকার বাসটির চালককেও খোঁজা হচ্ছে।