রাজশাহীতে হরতাল সমর্থকদের ভাংচুরের পর গাড়িচালকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতালের প্রথম দিন রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে মহানগরে।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানান, রোববার সকালের দিকে নগরীর শালবাগান এলাকায় পিকেটাররা দুটি অটোরিকশা ভাংচুর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে ওই চালকদের দেন মহানগর পুলিশ প্রধান।
ওসি বলেন, পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বে অবহেলার জন্য একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারের অধীনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের তিরস্কারও করেন।
'দুই গাড়িচালকের কাছে ক্ষতির পরিমাণ জেনে ওই পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা তুলে আড়াই হাজার করে মোট পাঁচ হাজার টাকা দুজনের হাতে তুলে দেন পুলিশ কমিশনার।
'
পুলিশ কমিশনারের সামনেই ওই দুই অটোরিকশা চালককে মোট ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
তিন দিনের হরতালের প্রথম দিনে নগরীতে বিজ্ঞিপ্ত সংঘর্ষ ও অগি্নসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসি আলমগীর বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহীর হেতেমখাঁ এলাকায় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
সকাল ৭টার দিকে নগরীর খড়খড়ি বাইপাস সড়কে কাঠ, বাঁশ ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে হরতাল সমর্থকরা। পুলিশ গেলে তাদের গাড়ির দিকে ইট ছোড়ে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সকাল ৮টার দিকে নগরীর বর্ণালি মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় হরতালকারীরা।
নগরীজুড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাজশাহীতে র্যাব-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিরোধী জোটের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মতিহার থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি আব্দুস সোবহান জানান, কাজলা ও বিনোদপুরে সংঘর্ষের একজন নিহতের ঘটনায় শনিবার রাতে একটি মামলা করেন এসআই আবদুল করিম।
ওসি বলেন, মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের সবাই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।
আসামিদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপিসহ ১৮ জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতাল শুরুর আগের দিন শনিবার কাজলা ও বিনোদপুরের এই সংঘর্ষে নিহত হন শিবির নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।